গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭০

বিশ্ব ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে নির্দেশ দিলেও তার সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে এখনও গাজায় নিজেদের হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল বাহিনী। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা জুড়ে ৯৩টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অন্তত ৭০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এ হামলায়। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
হামাস বলছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা কমানোর দাবি করলেও বাস্তবে ইসরায়েল তার আগ্রাসন থামায়নি।
শনিবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি জানায়, নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান কমানোর বিষয়ে যুদ্ধাপরাধী নেতানিয়াহুর সরকারের দাবি মিথ্যা প্রমাণ করেছে এই রক্তক্ষয়ী হামলা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, আরব ও ইসলামি দেশগুলোর প্রতি আহ্বান, যেন আইনগত ও মানবিক দায়িত্ব পালন করে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, ত্রাণ সহায়তা জোরদার করে এবং দুই বছর ধরে চলা নিধনযজ্ঞ ও গণঅনাহার বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ানো হয়।
গাজার গণমাধ্যম কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী শনিবার ৯৩টি বিমান হামলা চালিয়েছে, যাতে ৭০ জন নিহত হন। এর মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্দেশ দেন যেন অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করা হয়। কারণ হামাস তার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প জানান, তিনি বিশ্বাস করেন যে হামাস টেকসই শান্তির জন্য প্রস্তুত।
শনিবার মিশর ঘোষণা করেছে, আগামী সোমবার (৬ অক্টোবর) কায়রোতে এক বৈঠকে বসবে ইসরায়েল ও হামাস। সেখানে ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যুদ্ধবিরতি ছাড়াও হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং সংঘাত বন্ধের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এতে।